ডিজিটাল যন্ত্রপাতি এবং বেসিক স্কিল
ডিজিটাল যন্ত্রপাতির সাথে পরিচয়

স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট - আপনার ডিজিটাল সাথী
আজকের দিনে আমরা বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট – এগুলো আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু এই যন্ত্রগুলো ঠিক কি এবং কিভাবে কাজ করে, সেটা অনেকেই ঠিকমত জানে না।
এই অধ্যায়ে আমরা এই ডিজিটাল যন্ত্রগুলো সম্পর্কে জানবো এবং কিভাবে এগুলো ব্যবহার করতে হয়, সেটা শিখবো।
স্মার্টফোন:
ছোট, হাতে ধরা যন্ত্র যা ফোন করার পাশাপাশি অনেক কিছু করতে পারে, যেমন - ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, ছবি তোলা, গান শোনা, গেম খেলা, অ্যাপস ব্যবহার করা।
বিভিন্ন ধরণের স্মার্টফোন আছে, যেমন - Android, iPhone।
স্পর্শকাতর স্ক্রিন, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, স্পিকার ইত্যাদি অংশ থাকে।
কম্পিউটার:
ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ - দুই ধরণের হয়।
মনিটর, কীবোর্ড, মাউস, CPU ইত্যাদি অংশ থাকে।
বিভিন্ন ধরণের কাজের জন্য ব্যবহার করা যায়, যেমন - লেখালেখি, তথ্য বিশ্লেষণ, ছবি এডিটিং, ভিডিও এডিটিং, গেম খেলা।
ট্যাবলেট:
স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের মাঝামাঝি একটা যন্ত্র।
স্পর্শকাতর স্ক্রিন থাকে।
স্মার্টফোনের চেয়ে বড় স্ক্রিন, কিন্তু ল্যাপটপের চেয়ে ছোট।
বই পড়া, ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, ছবি দেখা, ভিডিও দেখার জন্য ভালো।
ইন্টারনেট সংযোগ:
ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য আপনার যন্ত্রটিকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
দুই ধরণের ইন্টারনেট সংযোগ আছে:
ওয়াই-ফাই: তারবিহীন সংযোগ, যেখানে আপনার যন্ত্রটি একটি ওয়াই-ফাই রাউটারের সাথে সংযুক্ত হয়।
মোবাইল ডেটা: মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ।
অপারেটিং সিস্টেম:
অপারেটিং সিস্টেম হলো একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটার বা মোবাইল চালানোর জন্য প্রয়োজন।
এর মাধ্যমে আপনি আপনার যন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন।
জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে আছে:
উইন্ডোজ: কম্পিউটারের জন্য।
অ্যান্ড্রয়েড: স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের জন্য।
আইওএস: iPhone এবং iPad এর জন্য।
সফটওয়্যার ও অ্যাপস:
সফটওয়্যার হলো কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা বিভিন্ন কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
অ্যাপস হলো মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি করা ছোট ছোট সফটওয়্যার।
সফটওয়্যার এবং অ্যাপস ইনস্টল, ব্যবহার এবং আনইনস্টল করা শিখতে হবে।
ফাইল ম্যানেজমেন্ট:
ফাইল হলো তথ্য যা আপনার কম্পিউটারে বা মোবাইলে সংরক্ষিত থাকে।
ফাইল ম্যানেজমেন্ট মানে হলো এই ফাইলগুলোকে সুন্দরভাবে সংগঠিত করা।
এর মধ্যে পড়ে:
ফোল্ডার তৈরি করা।
ফাইল সেভ করা।
ফাইল কপি এবং পেস্ট করা।
ফাইল ডিলিট করা।
এই অধ্যায়ে আলোচিত বিষয়গুলো আপনাকে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আরও দক্ষ করে তুলবে।
Last updated