যোগাযোগ সাক্ষরতা (Communication Literacy)
ডিজিটাল আড্ডায় হাতে খড়ি!

আজকাল আমরা শুধু মুখোমুখি কথা বলি না, ডিজিটাল মাধ্যমেও যোগাযোগ করি। ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও কনফারেন্সিং – এগুলো আমাদের যোগাযোগের অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু এই ডিজিটাল মাধ্যমে কীভাবে সঠিকভাবে কথা বলতে হয়, সেটা জানা খুব জরুরি। আর এই জানাকেই বলে যোগাযোগ সাক্ষরতা।
কীভাবে যোগাযোগ সাক্ষরতা বাড়াবেন?
মাধ্যম চেনা:
কখন ইমেইল করবেন, কখন টেক্সট মেসেজ পাঠাবেন, আর কখন ভিডিও কলে কথা বলবেন, সেটা বুঝতে হবে।
প্রতিটা মাধ্যমের শিষ্টাচার আলাদা। যেমন - ইমেইলে আনুষ্ঠানিক ভাষা ব্যবহার করতে হয়, কিন্তু টেক্সট মেসেজে আরও ক্যাজুয়াল ভাষা ব্যবহার করা যায়।
সঠিকভাবে লেখা এবং বলা:
নিজের কথা পরিষ্কারভাবে লিখতে এবং বলতে জানতে হবে।
ভুল বানান, অশুদ্ধ ব্যাকরণ থেকে সাবধান থাকতে হবে।
অন্যের কথা শোনা:
শুধু নিজের কথা বললেই হবে না, অন্যের কথাও মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।
শিষ্টাচার বজায় রাখা:
অনলাইনে অন্যদের সম্মান করতে হবে এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।
খারাপ কথা বলা বা অন্যদের অপমান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ভিজুয়াল যোগাযোগ:
ছবি, ভিডিও, ইমোজি ব্যবহার করে আপনার কথা আরও আকর্ষণীয় ভাবে বলা যায়।
যোগাযোগ সাক্ষরতা কেন জরুরি?
কর্মক্ষেত্রে: বেশিরভাগ কাজ এখন অনলাইনে হয়। তাই সহকর্মী এবং ক্লায়েন্টদের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারাটা খুব জরুরি।
শিক্ষাক্ষেত্রে: শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করতে হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে: বন্ধু এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য আমরা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করি।
সামাজিক জীবনে: বিভিন্ন অনলাইন কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ করে নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্য যোগাযোগ সাক্ষরতা দরকার।
মনে রাখবেন, যোগাযোগ সাক্ষরতা শুধু কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার করার দক্ষতা নয়, এটা একটা সামাজিক দক্ষতা।
Last updated