ভ্যারিয়েবল, লুপ এবং কন্ডিশনাল স্টেটমেন্টের গুরুত্ব
Last updated
Last updated
পূর্ববর্তী পৃষ্ঠাগুলোতে আমরা প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণাগুলো শিখেছি, যেমন ভ্যারিয়েবল, লুপ, কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট, প্রোসিডিউর এবং মডুলারিটি। প্রতিটি ধারণা কেবল প্রোগ্রামের অংশ নয়, বরং প্রোগ্রামিংয়ের ভিত্তি।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এই তিনটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? এবার আমরা এই গুরুত্ব নিয়ে নিয়ে আলোচনা করব।
আসুন, বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে এর উত্তর খুঁজি।
ধরেন, আপনি প্রতিদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য কিছু কাজ একের পর এক করে থাকেন। এবং এই প্রতিটি ধাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই কাজ গুলো আপনার রুটিন কাজ। এখন দেখি এরকম কিছু কাজের সঙ্গে প্রোগ্রামিংয়ের ভ্যারিয়েবল, লুপ, এবং কন্ডিশনাল স্টেটমেন্টের সঙ্গে কীভাবে তুলনা করা যায়।
প্রথমেই আপনার ব্যাগ গোছানোর কথা ভাবুন। প্রতিটি বই, খাতা, পেন্সিল নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হচ্ছে। এটি খুবই নিয়মমাফিক কাজ, আর ঠিক এটাই প্রোগ্রামে ভ্যারিয়েবলের কাজ। প্রতিটি ভ্যারিয়েবল একটি নির্দিষ্ট ডেটা রাখে, যেমন আপনার ব্যাগে রাখা প্রতিটি বই।
এরপর, আপনি নাস্তা খাচ্ছেন। প্রতিদিন একই রুটিনে এই কাজটি করছেন। এটি লুপের মতো। প্রতিদিনের রুটিনে নাস্তা করা একধরনের পুনরাবৃত্ত কাজ, যা লুপ দিয়ে খুব সহজে করা যায়। আপনি একবার লুপের নিয়ম ঠিক করে দিলে, এটি যতবার প্রয়োজন, ঠিক ততবার সেই কাজ করে দেবে।
সবশেষে, আপনি বাইরে যাচ্ছেন। আগে জানলেন, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে কি না। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে ছাতা নিয়ে যাবেন, আর যদি না হয়, তাহলে ছাড়া বের হবেন। এটি কন্ডিশনাল স্টেটমেন্টের মতো কাজ করে। শর্ত দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রোগ্রামে এই শর্ত অনুযায়ী প্রোগ্রামের পথ নির্ধারিত হয়।
এই তিনটি ধারণা:
(১) ডেটা সংরক্ষণ (ভ্যারিয়েবল),
(২) পুনরাবৃত্তি (লুপ), এবং
(৩) শর্তভিত্তিক সিদ্ধান্ত (কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট),
সব ভাষার প্রোগ্রামিংয়ের মূলে রয়েছে। আপনি যদি এগুলো আয়ত্ত করতে পারেন, তাহলে প্রোগ্রামিং শেখা আপনার জন্য সহজ এবং মজাদার হয়ে উঠবে।