ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের উদ্দেশ্য
Last updated
Last updated
ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো কম্পিউটার সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলো ঠিক করার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটি কেবলমাত্র নিরাপত্তার জন্য কাজ করে, ক্ষতি করার জন্য নয়।
একজন ইথিক্যাল হ্যাকার কাজ করার সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য সামনে রাখেন, যা নিচে উল্লেখ করা হলো:
প্রতিষ্ঠানের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্যই তাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। ইথিক্যাল হ্যাকাররা নিশ্চিত করেন যে এই তথ্যগুলো সুরক্ষিত থাকে এবং হ্যাকারদের হাতে পড়ে না।
সমস্যার স্বচ্ছ রিপোর্টিং সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের কোনো দুর্বলতা পাওয়া গেলে তা স্বচ্ছভাবে রিপোর্ট করা হয়, যাতে সংশ্লিষ্ট দল বা কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে।
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বিক্রেতাদের অবহিত করা যদি কোনো সিস্টেমে ব্যবহৃত হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারে সমস্যা পাওয়া যায়, তাহলে ইথিক্যাল হ্যাকাররা সেই কোম্পানিকে জানায়, যাতে তারা এটি ঠিক করতে পারে।
এই লক্ষ্যগুলো শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না, এটি প্রতিষ্ঠানটির সুনামও ধরে রাখতে সাহায্য করে। যখন একটি প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের নিরাপদ সেবা দিতে পারে, তখন তারা আরও বেশি বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে।
উদাহরণ হিসেবে ধরুন, একটি অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেম। ইথিক্যাল হ্যাকাররা নিয়মিত সেই সিস্টেম পরীক্ষা করে নিশ্চিত করে যে, কোনো ত্রুটি নেই যা হ্যাকাররা ব্যবহার করতে পারে। এভাবে গ্রাহকের আর্থিক তথ্য সুরক্ষিত রাখা যায় এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বাড়ে।