সিকিউরিটি থ্রেটের ধরণ

সিকিউরিটি থ্রেটের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, যা সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন হতে পারে। মূলত, সিকিউরিটি থ্রেটকে তিনটি প্রধান ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়: ইন্টারনাল থ্রেট, এক্সটারনাল থ্রেট, এবং হিউম্যান থ্রেট

ইন্টারনাল থ্রেট

ইন্টারনাল থ্রেট আসে সিস্টেম বা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তর থেকে। এটি হতে পারে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি বা সিস্টেমের মধ্যে বিদ্যমান কোনো সমস্যা।

  • উদাহরণ: পাসওয়ার্ড দুর্বলতা, সিস্টেমে ভুল কনফিগারেশন, বা একটি ফাইল যা সিস্টেমকে ধীরগতি করে দিতে পারে।

  • অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ, অত্যধিক তাপমাত্রা বা সিস্টেমে জলের উপস্থিতি থেকেও এই ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এক্সটারনাল থ্রেট

এক্সটারনাল থ্রেট সাধারণত বাইরের উৎস থেকে আসে এবং এটি সিস্টেমের উপর সরাসরি আক্রমণ করতে পারে।

  • উদাহরণ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ (বন্যা, ভূমিকম্প), বাজ পড়ে যাওয়া বা হ্যাকিংয়ের প্রচেষ্টা।

  • এগুলো সাধারণত সিস্টেমে ফিজিক্যাল ক্ষতি করে বা সিস্টেমে ঢোকার জন্য একটি সুযোগ তৈরি করে।

হিউম্যান থ্রেট

হিউম্যান থ্রেট এমন ঝুঁকি যা মানুষের ত্রুটি বা ইচ্ছাকৃত কার্যক্রমের কারণে সৃষ্টি হয়।

  • উদাহরণ: হার্ডওয়্যার চুরি, সিস্টেমে ভাঙচুর বা সাইবার আক্রমণ।

  • ম্যালিশিয়াস হ্যাকারদের উদ্দেশ্য প্রায়ই হয় ডেটা চুরি করা, আর্থিক ক্ষতি করা, বা সিস্টেমের কার্যক্রম ব্যাহত করা।

নন-ফিজিক্যাল থ্রেট

এই ধরনের থ্রেট সরাসরি দৃশ্যমান নয়, তবে এটি সিস্টেমের কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে।

  • উদাহরণ: ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, ফিশিং, ডিডস অ্যাটাক।

  • এগুলো সিস্টেমের ডেটা বা কার্যক্রম ধ্বংস করে দিতে পারে এবং একে ব্যবহারকারীদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়।

সিকিউরিটি থ্রেটের প্রতিটি ধরণের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ঝুঁকি থাকে, যা একটি সিস্টেমের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া একটি প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Last updated