ইথিক্যাল হ্যাকিং কী?
Last updated
Last updated
ইথিক্যাল হ্যাকিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একজন দক্ষ ব্যক্তি কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের দুর্বলতা চিহ্নিত করেন এবং সেগুলো সমাধান করেন। এটি সবসময় সিস্টেমের মালিকের অনুমতি নিয়ে এবং আইন মেনে করা হয়। ইথিক্যাল হ্যাকারদের মূল কাজ হলো সিস্টেমকে নিরাপদ রাখা, যাতে ম্যালিশিয়াস হ্যাকাররা সেই দুর্বলতাগুলো ব্যবহার করে ক্ষতি করতে না পারে।
মনে করুন, আপনার একটি বাড়ির নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য আপনি একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি দরজা, তালা এবং জানালার দুর্বলতা চিহ্নিত করে জানান, কোথায় সমস্যা হতে পারে। এর ফলে আপনি আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে পারেন। ইথিক্যাল হ্যাকিংও একইভাবে একটি সিস্টেম বা নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখার জন্য কাজ করে।
ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং ম্যালিশিয়াস হ্যাকিংয়ের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য হলো উদ্দেশ্য। ইথিক্যাল হ্যাকিং বৈধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়, যেখানে ম্যালিশিয়াস হ্যাকিং অবৈধভাবে ক্ষতি করার জন্য। ইথিক্যাল হ্যাকারদের কাজ হলো সিস্টেমে পাসওয়ার্ড দুর্বলতা, ভাইরাস প্রবেশের পথ বা অন্যান্য ত্রুটি চিহ্নিত করে তা সমাধানের উপায় দেওয়া।
ইথিক্যাল হ্যাকিং
ম্যালিশিয়াস হ্যাকিং
বৈধভাবে এবং অনুমতি নিয়ে করা হয়।
অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে করা হয়।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়।
ক্ষতি করার জন্য বা ডেটা চুরি করার জন্য করা হয়।
সিস্টেমের দুর্বলতা সমাধান করা হয়।
সিস্টেমের দুর্বলতাকে কাজে লাগানো হয়।
আমাদের ডিজিটাল জীবনযাপনে ইথিক্যাল হ্যাকিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল কোম্পানির জন্যই নয়, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যও প্রয়োজন। বড় কোম্পানিগুলো যেমন গুগল, পেপাল বা ফেসবুক নিয়মিত ইথিক্যাল হ্যাকারদের দিয়ে তাদের সিস্টেম পরীক্ষা করায়। একইভাবে, ব্যক্তিগত ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের জ্ঞান অত্যন্ত কার্যকর।